আনোয়ারায়  সঙ্ঘ তীরে -শীতকালীন সবজির সয়লাব 

 

এয়াকুব আলী—-

আনোয়ারা উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী এলাকায় কপি, শিম, বেগুন, মুলা’সহ নানা প্রকারের শীতকালীন সবজি প্রচুর ফলন হয়েছে। দামও ভাল থাকায় কৃষকেরা খুবই খুশি।

উপজেলার জুইদন্ডী, বরুমচড়া, বটতলীর বিভিন্ন এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী বাশঁখালী উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় রকমারি সবজি চলতি মৌসুমে ভাল উৎপাদন হয়েছে। প্রতিদিন বাজারে উঠছে এসব রকমারি সবজি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এখানকার কৃষকেরা শীতকালীন সবজির আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছে। এসব এলাকার কৃষকেরা বেশি লাভের আশায় জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আগাম সবজির আবাদ করে চলেছে এবং তারা শীতকালীন আগাম সবজি উৎপন্ন করে চড়া মূল্যে বিক্রি করে লাভবানও হচ্ছে।

সবজি চাষীরা  জানান, ধানের আবাদ করতে গিয়ে অব্যহত লোকসান পোষাতেই তারা শীতের মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ করে চলেছেন। সবজির আবাদে এখন তারা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন।

এলাকা জুড়ে উৎপাদন হচছে  শঙ্খ নদীর উভয় পাড়ে বিভিন্ন এলাকায় এবং পার্শ্ববর্তী জমিতে বেগুন, লাউ, শিম, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি, টমেটো, বিভিন্ন প্রজাতির শাকসহ শীতকালীন রকমারি সবজিতে ভরে গেছে বাড়ির আঙিনা সহ শঙ্খ নদী তীরবর্তী মাঠের পর মাঠ। কৃষক-কৃষনারীও অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে সবজি ক্ষেত পরিচর্যায়। যেন অবসর নেই তাদের। কেউ সবজি ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন, কেউবা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে।

শাসা-বাদ থেকেই কৃষকেরা পাইকারী বিক্রি করে দিচ্ছে অনেক সবজি। তাছাড়া এ সকল এলাকার কৃষকেরা সকালে সবজি ক্ষেত থেকে সবজি তুলে পার্শ্ববর্তী ঐতিহ্যবাহী কাঁচা বাজার সরকার হাট, রোস্তম হাট, চৌমুহনী বাজারে প্রতিদিন সকালে নিয়ে আসে শীতকালীন সবজি। এসব কৃষকদের মধ্যে জাগির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমী শীতকালীন সবজি বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় তারা তুলনা মূলকভাবে দাম বেশি পাচ্ছেন ।

বিগত ২ বছর ধরে শঙ্খ নদীর দু’পাড়ের কৃষকেরা বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করে লোকসানে পড়তে হয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শীতকালীন সবজির ফলন ভাল হয়েছে, দামও রয়েছে সন্তোষ জনক।    ফলে এসব এলাকার সহস্রাধিক রকমারি শীতকালীন সবজি চাষীরা বিগত কয়েক বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখছে।

তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শঙ্খ তীরবর্তী এলাকায় সবচেয়ে বেশী সবজি চাষে  সম্ভাবনাময় ও উপযোগী ভূমি।