চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

বলাকা প্রকাশনের উদ্যোগে কবি ও লেখক প্রকৌশলী রফিক সিকদারের ২টি গ্রন্হ যথা কাব্যগ্রন্হ ‘কাব্যসমগ্র’ ও নাট্যগ্রন্হ ‘নাট্যসমগ্র’ এবং গল্পকার ফেরদৌসি সিকদারের গল্পগ্রন্হ ‘আমার ছোটগল্প’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান আজ ৯ মে বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব হলে অনুষ্ঠিত হয়।

বলাকা প্রকাশন এর সত্বাধিকারী গবেষক জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন চুয়েটের সাবেক ভিসি প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক, আইইবি চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম। তিনটি গ্রন্থের সম্মানিত আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন কবি অধ্যাপক হোসাইন কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লেখক কাইসার কবির,সীতাকুন্ড লতিফা সিদ্দিকা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লেখক – গবেষক শিমুল বড়ুয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লেখক- বাচিকশিল্পী রেবা বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোহাম্মদ তৌফিক।কোরআন তেলওয়াত করেন মোহাম্মদ আতিক সিকদার, কবিতা পাঠ করেন সাউদার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপিকা ডাঃ নাবিলা সিকদার তমা।

উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবকাশধারা শিল্পী সংস্হার সদস্যবৃন্দ। এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখবেন কৃষিবিদ প্রকৌশলী তারিক সিকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “একটি পরিবার কীভাবে সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে জীবনের অংশ করে তুলতে পারে, আজকের এই অনুষ্ঠান তার এক অনন্য উদাহরণ। রফিক সিকদার এবং ফেরদৌসী সিকদার দম্পতির সাহিত্যচর্চা আমাদের সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।”তিনি বলেন, “কবিতা কেবল আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং প্রতিবাদের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার মতোই আজও কবিতায় আমরা শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারি। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সাহিত্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”ডা. শাহাদাত আরও বলেন, “প্রকাশিত কাব্য ও নাট্য সমগ্র আমাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা দেবে।

ফেরদৌসী সিকদারের ছোটগল্পগুলো আমি পড়েছি, এগুলো সমাজকে নতুন করে চিনতে সহায়তা করবে।”বক্তব্য শেষে তিনি সকল লেখক ও আয়োজকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।