চট্টগ্রামে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

চট্টগ্রাম ;

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক যিনি চিকিৎসাশাস্ত্র ও অধ্যাপনা জন্য বিশেষ খ্যাতিমান ছিলেন।

উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ নুরুল ইসলামের ৯৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এইসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক পদ অলংকৃত করেন এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় তিনি আলোময় পথ দেখিয়েছিলেন বলে তিনি আজও আমাদের চিকিৎসা বিগ্ঘানের অনন্য দ্রষ্ঠা। তাঁর ব্যাক্তিত্ব, মেধা ও মননের সামুহিকতা আমাদের অমৃত বোধির সন্ধান দেয়।

তাঁর অবদান সমাজ ও দেশে অপরিসীম, এমনই একজন বিরল প্রতিভাধর,মানবিক ও নিবেদিতপ্রাণ ব্যাক্তিত্ব কিংবদন্তি ডা. নুরুল ইসলাম উচ্চশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগং (ইউএসটিসি) স্থাপন করেছেন।

উপদেষ্টা আরো বলেন,ডা. নুরুল ইসলাম তাঁর জীবদ্দশায় বেশ কয়েকটি সমাজসেবামূলক সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন এবং এর পাশাপাশি তিনি জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার মধ্যে ইসলামিক চিকিৎসা মিশন,জনসেবা ফাউন্ডেশন, আধুনিক, জাতীয় যক্ষা সমিতি, উইএসটিসি প্রতিষ্ঠা করেন।

ডাঃ নুরুল ইসলাম দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ স্বাধীনতা পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য দেশি ও বিদেশি পুরস্কারে ভূষিত হন।

সেমিনারে.ইউএসটিসির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন. দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, ইউএসটিসির উপ উপাচার্য এম মহিউদ্দিন চৌধুরী,আই.এ.এইচ.এস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রমা বড়ুয়া, প্রধান বক্তা, আই এ এইচ এস মেডিকেলের ডিরেক্টর ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. বদিউল আলম,স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএসটিসির রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া, উপদেষ্টা সেমিনারের শুরুতে স্মৃতির স্বর্ণালি পাতায় স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।সেমিনারে শিক্ষক- শিক্ষার্থী সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগণ উপস্থিতি ছিলেন।