গহিরায় উঠান মাঝির ঘাটে, চরের বালু নির্বিচারে লোপাট করছে দিন-রাত

আনোয়ারা প্রতিদিন:
চট্টগ্রামের  আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দোভাষী বাজার এলাকার উঠান মাঝি ঘাট এলাকায় এক শ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রভাবশালীর নির্দেশে সাগর তীরে চরের বালু নির্বিচারে লোপাট করছে ট্রাকে করে। চরের বালু দিয়ে চলছে জমি ও মৎস্য আড়ত ভরাটের কাজ।
এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত চর।ঝুঁকির মুখেও পড়ছে পরিবেশ।
অপরিকল্পিত বালু তোলার ফলে ভাঙনের হুমকিতে পড়তে পারে পাশের বেড়িবাঁধও।নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় সরকারের কয়েকশত কোটি টাকার চলমান প্রকল্পটিও ভেস্তে যেতে পারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে।
 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু শ্রমিকর  বালু ভর্তি করছে ট্রাকে। এরপর ট্রাকগুলো বালু নিয়ে যাচ্ছে সাগরে তীরে নির্মিত বেড়িবাঁধের পাশে মৎস্য আড়তে। বালু ভর্তি একটি ট্রাককে এলাকায়  ঢুকতেও দেখা যায় ।
বালু ভর্তি কাজে নিয়োজিত লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, চরের বালুগুলো তারা মৎস্য আড়ত নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত করছে। কিছু বালু বাড়ির কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নির্দেশে ট্রাকে করে বালু ভর্তি করছেন বলেও জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঙা বেড়িবাঁধের কারণে স্থানীয় বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহনও চলাচল করে বালুর চর দিয়ে। এসব অসাধু ব্যক্তিরা চর থেকে বালু তোলার ফলে সৃষ্টি হয় গর্ত। জোয়ারের পানিতে হয়ে যায় কাদা মাটির গর্ত। এসব গর্তে আটকে যায় গাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান , যারা বালু তোলেন তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কথা বলার সাহস পায় না। কে কথা বলবে এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে? প্রশাসনও সব দেখে না দেখার ভান করছে।
দিনে বা রাতে ট্রাকে করে চর থেকে নিয়ে যাচ্ছে বালু। এসব বালু দিয়ে কেউ বা ভরাট করছে তাদের বাড়ির আশপাশের সড়ক। কেউবা ভরাট করছে মৎস্য আড়ত।
স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জানে আলম বলেন, চর থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জেনেছি। এজন্য গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) দিয়ে রাতে দিনে চলে পাহারা। আমাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাচ্ছে। এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, চর থেকে যারা বালু উত্তোলন করে ট্রাক ভরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।