আনোয়ারা প্রতিদিন;
আনোয়ারায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে জেএসসির রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে দুর্জয় দাশ নামে এক স্কুল ছাত্র আত্নহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। সে চাতরী ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), কৈনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরে বারে বারে ধর্না দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ও জেএসসির রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে ক্ষোভে-অভিমানে আত্নহত্যা করেছে বলে দাবি তার পরিবারের।
দুর্জয় আনোয়ারা উপজেলার কৈনপুরা জলদাশ পাড়ার মিলন দাশের ছেলে।তারা দুই ভাই এক বোন। বড় ভাই একটি গার্মেন্টে চাকরি করে।বোনটা তার ছোট। সে কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, দুর্জয় দাশ কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষার্থী। আগামীকাল জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। গত কয়েকদিন আগে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে জানতে পারে জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স দুই বছর বেশি।ফলে তার রেজিস্ট্রেশন হবেনা। এটা শোনার পর সে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।
প্রথমে চাতরী ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রে যায়। সেখান থেকে তাকে বলা হয় স্কুল থেকে একটা প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আসেন। এরপর তারা কৈনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট গেলে তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আমাদের বিরুদ্ধে ইউএনওর নিকট অভিযোগ করেছেন। তাই তিঁনি নিষেধ করেছেন প্রত্যয়নপত্র না দিতে।
এরপর যোগাযোগ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) সাথে। তিনিও বলেন ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র থেকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে আনতে হবে। এই অফিস থেকে ওই অফিসে দৌড়াদৌড়ি করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এবং জেএসসির রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে দুর্জয় দাশ আত্নহত্যা করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, দুর্জয় আমার কাছে আসলে আমি ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে বলে দিয়েছিলাম। তারা সংশোধন করে দিবে বলেছিল।