মাদ্রাসা পরিচালনার নেতৃত্ব কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৪জন আহত

আনোয়ারা প্রতিদিনঃ

আনোয়ারায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৪জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, কলিম উদ্দিন মাতবর গোষ্ঠীর;

মো. ইসমাইল (৪০), শাখাওয়াত সোহেল (২২), আবদুর রহমান (৫০), নুর খান (২০), মো. ইসমাইল (৪৫) এবং মধ্যমপাড়া সোসাইটি গোষ্ঠীর মো. ইকবাল (৪৮), মো. ইমন (২৫), মো. ইউসুফ (২২), আবদুর রহিম (৫০), মো. আলমগীর (৩৮), ফরহাদ ছোটন (১৮), মো. ইব্রাহীম (৪০), আবু তাহের (৫০) ও মো. রুবেল (২৮)।

আহতদের মধ্যে সাখাওয়াত সোহেল, মো. ইকবাল ও মো. ইমনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে দুধকুমড়া মদিনাতুল উলুম ফোরকানিয়া মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন কলিম উদ্দিন মাতবর গোষ্ঠী।

কিন্তু দাতাসূত্রে ওই মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পেতে মেনা গাজী গোষ্ঠীর সাথে চারটি বাড়ী এক হয়ে মধ্যম পাড়া সোসাইটি নামে একটি সংগঠন গঠন করে। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দু’পক্ষের লোকজন পক্ষে বিপক্ষে পোস্ট দিয়ে আসছিলো।

এর জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে দুপক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়ালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ১৪ জন আহত হন।

ঘটনার সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

কলিম উদ্দিন মাতবর গোষ্ঠীর হাজী মো.ছৈয়দ নুর জানান, মাদ্রাসাটি অন্তত ৫০ বছর ধরে মসজিদ কমিটি পরিচালনা করছি। কিছু দিনের মধ্যে একটি পক্ষ মাদ্রাসাটি দখলে নিতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।

কামাল উদ্দিন জানান, মাদ্রাসাটি আমাদের হলেও জোর করে দখলে রাখেন প্রতিপক্ষের লোকজন। তারা এটি ভালোমতো পরিচালনা করেন না। তাই মাদ্রাসাটি নতুন করে চালু করতে চাইলে তারা বাধা দেয়।

আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোখসানা আক্তার জানান, আহত ১৪ জনের মধ্যে তিনজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।