আনোয়ারা প্রতিদিন ডেস্ক ;
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উপকূলের কাছাকাছি আসতে আসতে কিছুটা দিক পরিবর্তন করেছে। এর আঘাত বাংলাদেশের খুলনাসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একই সঙ্গে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ঢুকতে সুন্দরবনের সাথে লড়াই করতে হবে আম্পানকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ মঙ্গলবার রাতে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দিক পরিবর্তন করলেও এর আঘাত বাংলাদেশের খুলনাসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একই সঙ্গে পড়তে পারে। কাল বুধবার সকাল থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে হবে। এই দুটি বন্দরের আশপাশের অঞ্চলও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এর আগে গতকাল সোমবার থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, সুপার সাইক্লোন আম্পান সামান্য শক্তি হারিয়ে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
শক্তি কমলে ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমানে যে গতিতে রয়েছে তাতে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে। উপকূল অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
এছাড়া বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।