তারা নাকি দুর্নীতি মুক্ত-চমেক

“মু রিফাত মিয়া”

চট্টগ্রাম মেডিকেলের কলেজ হাসপাতালেক জরুরী বিভাগে রোগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকিট নিতে হবে। টিকিট ১০টাকা, টিকিট নেওয়ার পর, রোগী ভর্তি করতে করতে হলে ১৫টাকা মুল্যের টিকিট নিতে হয় ২০টাকা দিয়ে।

টিকিট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০টাকা,ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর রোগীর সাথে ১জনের বেশি প্রবেশ করলে জন প্রতি আনচার সদস্যকে দিতে হয় ২০টাকা,ওয়ার্ড বয়কে টাকা না দিলে বেড পাওয়া দুষ্কর।

রোগীর ভর্তি পর্ব শেষে এবার ডাক্তারের পালা। নিয়মিত ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও প্রতিদিন ২ বার ডাক্তারের দেখা মিলে। তাও আবার রোগীর চিকিৎসা করার চেয়ে তারা ছাত্রদের জ্ঞান দিতেই ব্যস্ত থাকেন। বাকি সময় প্রতি ওয়ার্ডে থাকে কিছু সিনিয়র স্টুডেন্ট এবং নার্স যারা রোগী মেরে অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

প্রতিটা ডাক্তার দিবে নতুন নতুন টেস্ট আর ঔষধ। টেস্ট করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে।প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে।

অপারেশন করতে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার ঔষধ কিনে ডাক্তারের হাতে দিতে হবে। যা অফেরতযোগ্য। অপারেশন সাক্সেস হলে অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে।দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য নাস্তার টাকা দিতে হবে।সুস্থ রোগীকে রিলিস করলেও সবাই কে খুশি করতে হবে।

দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে।আর যদি মারা যায় রোগীকে নিচে নামাতে একটা অংখ দিতে হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলবে আমাদের পরিচিত এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যেতে হবে। বাইরে থেকে আনলে হবে না। এতো সব দুর্নীতি দেখার পর নিচে এসে সাইনবোর্ডে দেখা যায় তারা নাকি দুর্নীতি মুক্ত।