এস এম সালাউদ্দিন::
আনোয়ারা ও কর্ণফুলি উপজেলায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) এর বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত ৩০ হাজারের অধিক কর্মী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে জনসমাগম ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হলেও শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশনা না আসায় কেইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় একসঙ্গে বহু শ্রমিককে কাজ করতে হচ্ছে।
প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার কর্মী কারখানায় আসা যাওয়া করছে। কারখানার ভেতরের এবং বাইরের পরিবেশে তেমন কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেই। অধিকাংশ কারখানায় নিরাপদে হাত ধোয়া, পয়োনিষ্কাশন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকেরা।
অন্যদিকে আনোয়ারায় বঙ্গবন্ধু টানেল ও চায়না ইকোনোমিক জোনে প্রায় ৩ শতাধিক চায়না নাগরিক কর্মরত থাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। চীনা নাগরিকরা উপজেলার হাট বাজারে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করছে ।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কেও করোনা রোগীর শনাক্তের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই।
কেইপিজেডের একাধিক শ্রমিকরা জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই কারখানায় কাজ করে যেতে হচ্ছে। যদি কোনভাবে একজন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে কারখানার সবার মাঝে দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়বে। আমরা ৩০ হাজার শ্রমিক বাঁচলে আমাদের ৩০ হাজার পরিবার বাঁচবে।
এ অবস্থায় করোনা মহামারি ধারণ করার আগে আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা ভাবনা করে কারখানা বন্ধ করে সবেতনে ছুটি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোরিয়ান শিল্প জোনের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে কারখানা বন্ধের নির্দেশনা আসলে তখন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হবে।