ঈদের আগে খুলছে না টেরিবাজার রেয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমণ্ডি,নিউ মার্কেট 

অনলাইন আনোয়ারা প্রতিদিন  ডেস্ক ;

নগরীর বেশিরভাগ শপিং সেন্টারের মতোই ঈদ-উল-ফিতরের আগে খুলছে না পাইকারি কাপড়ের বিপণিকেন্দ্র টেরিবাজার, রেয়াজউদ্দিন বাজার ও তামাকুমণ্ডি লেন। বড় এ মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

আজ ৯ মে দুপুরে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বন্ধকালীন নগরীর সব বাজার ও বিপণিকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করার আশ্বাস দেন।

সভায় ব্যবসায়ী নেতারা জাকাতের কাপড় পাইকারি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হোম ডেলিভারি চালু রাখা এবং ফুটপাতে ঈদ বাজার বন্ধের দাবি জানান।

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, “চট্টগ্রামের সব শপিং সেন্টারের মতো টেরিবাজারও বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা শুধু জাকাতের কাপড় গুদাম থেকে ট্রাকে ক্রেতাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছি।”

তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, “চট্টগ্রামের সব শপিং সেন্টার ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। রেয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেন, টেরিবাজারসহ সব বিপণিকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।”

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় যেহেতু প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই জন্য সভায় নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেন, জহুর মার্কেটের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতিসহ অধিকাংশ ব্যবসায়ী সমিতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বিস্তার প্রতিরোধের লক্ষ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।”

সিএমপি কমিশনার বলেন, “যেসব শপিংমল, মার্কেট খোলা থাকবে সেখানে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সঙ্গে সঙ্গে ওই মার্কেট, শপিংমল বন্ধ করে দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সভায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার সুবিধার্থে শপিং মল, মার্কেট সমূহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১টি কারিগরি নির্দেশনা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি নির্দেশনা মানার পরামর্শ দেন সিএমপি কমিশনার।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনা

সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট ও শপিং মলসমূহ খোলা রাখা; শপিং মল বা মার্কেটের ২ কিমি’র মধ্যে বসবাসকারী ক্রেতারা সংশ্লিষ্ট শপিং মল বা মার্কেটে কেনাকাটা করা, বসবাসের এলাকা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ক্রেতা সাধারণের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা এবং চেক করে শপিং মলে প্রবেশ করতে দেয়া; বয়স্ক/শিশু/অসুস্থদের শপিং মলে গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করা; শপিং মলের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা আলাদা নির্ধারণ করা এবং শপিং মলে আগত যানবাহন সমূহকে অবশ্যই জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা করা।