আনোয়ারা প্রতিদিনঃ
আনোয়ারায় লোহা গফুরের ভাঙ্গারির দোকান থেকে কালুরঘাট-মহেশখালী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নতুন স্থাপিত টাওয়ারের চোরাই মালামাল উদ্বার করেছে পুলিশ।
এসময় দোকানের ম্যানেজার জামির হোসেন (২৮) ও চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্য শফিউল আলম সবুজ (২১) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বরাবরের মত ভাঙ্গারির ব্যবসার আড়ালে চোরাই স্ক্র্যাপ মালামাল ব্যবসায়ী লোহা গফুর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
আনোয়ারায় চোরাই লোহার বড় একটি অংশ এই লোহা গফুরের মাধ্যমে চোরাচালান হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, একেকটি টাওয়ারে প্রায় অর্ধকোটি টাকার লোহার যন্তাংশ রয়েছে। উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল এসব টাওয়ার থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে আসছে ।
পুলিশ জানায়, বিদ্যাুৎ বিতরণ বিভাগ থেকে টাওয়ারের মালামাল চুরি করার একটি অভিযোগ পাই। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা চাতরী চৌমুহনী বাজারের পাঁচ সিকদার ব্রীজ এলাকার একটি ভাঙ্গারি দোকান থেকে চোরাই বিদ্যুত খুটির যন্ত্রাংশ জমির নামে একজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করি পরে জমিরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সবুজ নামের এক পেশাদার চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাতরী চৌমুহনী বাজারের পাঁচ সিকদার পুল এলাকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আবদুল গফুরের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন পুলিশ যেসব মাল জব্দ করেছে এসব পল্লী বিদ্যুতের মাল না। পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের মালামাল নয় বলে জানান। তারপরও পুলিশ মালামালগুলো নিয়ে যায়।
আনোয়ারা থানার এস আই ইকরামুজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অভিযোগ পেয়ে আমারা অনুসন্ধান চালিয়ে প্রথমে চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে গফুরের ভাঙ্গারির দোকান থেকে চোরাই মালামালগুলো উদ্বার করি। এসময় দোকানের এক স্টাফকে চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা মালামালগুলো ক্রয় করেছে তারাও সমানভাবে অপরাধী।
আনোয়ারা থানার এস আই ইফরান খান জুয়েল বলেন, বিদ্যুতের চোরাই মালামালসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেও বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।