ডেস্ক নিউজ, আনোয়ারা প্রতিদিন ;
আনোয়ারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মিল্টন পালিতের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনোয়ারাবাসীর।প্রতিনিয়ত রেজিস্ট্রারি সময় কমিশনের সরকারি ফিস বাবদ ২৫০ টাকা, আনোয়ারা সাব রেজিস্ট্রারি অফিসে আনোয়ারা উপজেলার গ্রামের ভিতরে হলে ১০ হাজার টাকা, উপজেলার বাহিরের /শহরে বা অন্যতায় না হইলে ২০হাজার টাকা অফিসের পিয়ন মিলটন পালিত মাধ্যমে জোরপূর্বক নেওয়া হয়।
তাছাড়া কমিশনে গেলে এই টাকার বাইরেও মিল্টন পালিত দাতা গ্রহীতা জমির দাতা ও গ্রহীতা কে জিম্মি করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করেন।
বিভিন্ন সেবা নিতে আসা মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাছাড়া যে সমস্ত দলিল হয় প্রত্যেক দলিল হইতে ১শ/২শত টাকা করে ঘুষ নেয়। মিল্টন পাল বর্তমানে আনোয়ারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যে সমস্ত দলিল হয় প্রত্যেক দলিল হইতে প্রতি হাজারে ৩০% করে অর্থাৎ এক লক্ষ টাকার দলিল হইলে ৩ হাজার টাকা, ১ কোটি টাকার দলিল রেজিস্ট্রি হইলে সাব রেজিস্ট্রি অফিস পিয়ন মিল্টন পালিত ৩০০০০ টাকা আদায় করে।
এই সমস্ত টাকা বিকেল পাঁচটার সময় আদায় করা হয়, আদায়কৃত সর্বমোট টাকা হিসাব মিল্টন পালিত আদায় করে, পরের দিন ভাগ বাটোয়ারা করে উক্ত টাকা ৫০% অংশ সাব রেজিস্টার বাকি টাকা অফিস অফিস কেরানী যথা অফিস সহযোকারি ২০% কেরানি মোহর আর দুইজনে ২০% বাকি ৫% পিয়ন টিসি মহড়ার ৫% পেয়ে থাকেন।
তাছাড়া কোন দলিলের খতিয়ান না থাকলে আইডি কার্ড না আনলাইনে খাজনার দাখিলা না থাকলে, বিভিন্ন অজুহাতে মাধ্যমে সাব রেজিস্টার প্রত্যেক দলীল থেকে ৫ হাজার ১০০০০ টাকা জিম্মি করে রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে বিকেল পাঁচটায় আদায় করে পিয়ন মিলটন পালিত।
ঔষুধ কোম্পানির এমআরের মত দলিল লেখকদের লাইন ধরে টাকা দিতে সাব রেজিস্টার অফিসে দেখা যায়, বিকেল পাঁচ টার পরে মিল্টন পালিত এর মাধ্যমে আদায় করা হয়।
এই সমস্ত বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্টার খন্দকার জামিলুর রহমানের কাছে দলিল লেখকরা লিখিত অভিযোগ করিলে, গত একমাস অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ থাকিলেও মিল্টন পালিত আবার ঘুষের টাকা আদায় করা শুরু করেছে বলে জানা যায়।
যাহা রীতিমতো আনোয়ারার মানুষ সাব রেজিস্টার অফিসের পিয়ন মিল্টন পালিতের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় তদন্ত সাপেক্ষে মিল্টন পালিতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য যে ২৬ শে মে (সোমবার) সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সংবাদ সংগ্রহ করতপ গেলে সংবাদকর্মীদের পিয়ন মিল্টন পালিত সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এই বিষয়ে সাংবাদকর্মিরা সাব রেজিস্ট্রার এর কাছে মিল্টন পালিতের বিরুদ্ধে গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব রেজিস্টার উপস্থিত জনগণের নিকট ঘটনা সত্যতা খুঁজে পায় এবং মিল্টন পালিচার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।
