অভ্যান্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য আহরণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম ;

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিস ফরিদা আখতার বলেছেন, অভ্যান্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য আহরণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অ্যাকোয়াকালচার উৎপাদনে রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে।

উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই সব কথা বলেন ।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর একজন মানুষ গড়ে প্রায় ২৩ কেজির মতো মাছ খায়। এটি একদিকে ভালো, তবে এটি বাড়ানোর সুযোগ আছে। মাছ বেশি খেলে পুষ্টির ঘাটতি কমবে, পাশাপাশি আর্থিক প্রবৃদ্বিও ভালো হবে। আমরা বছরে প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করি। এর ১ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষুদ্র স্কেল ফিশারিজের অবদান।

আমাদের উৎপাদনের প্রবৃদ্বি ভালো, কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সাদা মাছ রপ্তানির বাজারে আসতে পারেনি। ফলে ৯৭ শতাংশের বেশি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ওয়ার্ল্ডফিশ আমাদের দেশে মাছের উন্নয়নে এমন অনেকগুলো কাজ করছে, যা আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। যেমন ওয়ার্ল্ডফিশ আমাদের দেশে বড় আকারের রুই-কাতলা মাছের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে গবেষণা ও সমাধান বের করেছে।

আমরা বিশ্বে মাছ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আর অ্যাকোয়াকালচার, অর্থাৎ মাছের সঙ্গে অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ উৎপাদনে পঞ্চম ও সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১১তম অবস্থানে আছি। এ খাতে আমাদের অবস্থান আরও ভালো করা সম্ভব।

উপদেষ্টা আরো বলেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে আমাদের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই। মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে সরকার আলাদা ইকোনমিক জোন করতে পারে, যেখানে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রপ্তানির জন্য মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হবে।

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেছেন, দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে জড়িত ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা ও প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেছে ।

আলোচনা সভায় সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন কমিটি’র আহ্বায়ক ও মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদদের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এসিআই এগ্রো লিংক লিমিটেডের বিজনেস পরিচালক সাঈদ এম ইশতিয়াক, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন সভাপতি এনাম চৌধুরী, নিরিবিলি গ্রæপ এবং শিম্প্র অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি লৎফর রহমান কাজল, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র, ফিশারিজ বিভাগের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ, রাংঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বক্তৃতা করেন, আলোচনা সভায় শিক্ষক শিক্ষার্থী সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
==০==
——————-
মামুন/সাজ্জাদ/সাঈদ/বাপ্পী, ১৮:৪৫টা ঘণ্টা, ২০২৫।।