এনামুল হক নাবিদ, আনোয়ারা প্রতিদিনঃ
গায়ে লাগছে শীতের আমেজ। ক্রমন্বয়ে বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির চেহারা। হেমন্তের পরে শীতের আগমনে পরিবর্তন হচ্ছে চির পরিচিত আবহাওয়া। হিম শির শির পুরোদমে আসছে শীত।
তবে প্রকৃতির অপারমায়াবী ছায়াঘেরা জনপদ, পাহাড় পর্বত, সাগর নদীর স্বচ্ছজলের ¯স্রোতে বয়ে চলা আনোয়ারার বিভিন্ন জায়গায় আসতে শুরু করেছে শীতকালীন অতিথি পাখি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১নং বৈরাগ ইউনিয়নের আরব বনিকদের পদধূলি দেয়াং পাহাড়ের আঁকা বাঁকা লেকেতে নিখুত জলরাশি, দেয়াং এর মাঝে মাঝে ঝোপ জঙ্গল আর পরতে পরতে কাঁশের আনাগোনা প্রকৃতির রূপ লাবন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির কলরব।
ডাল থেকে অন্য ডালে পাখিদের ছুটা ছুটি কিচির মিচির ধ্বনিতে মুখরিত যেন দেয়াং এর পুরো অঞ্চল। প্রতিবারের ন্যায় শীতের আগমনে এই পাখি গুলোর আগমন এবারেও ব্যতিক্রম ঘটেনি।
ঝাঁকবাধা পাখি গুলো যেন আবারো আপন দেশে ফিরে এসেছে। তাই তো মায়া মমতা ভরা পাখি গুলো দেখতে প্রতিদিন দলে দলে ছুটে আসে পাখি প্রেমিকরা।
পাখি গুলো কে যেন তাঁরা নিজেদের সন্তানের মত করে নিয়েছে। সন্ধ্যা হলেই পাখির অভয়ারণ্য স্পটগুলো দেখা যায় দল বেঁধে পাখির ছুটাছুটির দৃশ্য।
কখনো লেকের স্বচ্ছ জলে আবার কখনো পাহাড়ের মগডালে। এসব অতিথি পাখির ছুটাছুটির দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন কেইপিজেট এলাকায় ছুটে আসছে পাখি প্রেমিকরা।
পাখি দেখতে আসা মানুষ গুলোর সাথে কথা বললে তাঁরা বলে, এই শীতকালীন পাখিগুলো আমাদের আপন জনের মত, যেন আমরা এক আত্মার বন্ধনে আবদ্ধিত।
শীতের তীব্রতা বেঁড়ে যাওয়ায় পাখি গুলো আমাদের সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে এখানে অতিথি হয়ে এসেছে। দেয়াং’র এই ঝোপজঙ্গল গাছের ডালপালা গুলো যেন এদের পরিচিত নিরাপদ আবাস্থল।
সুদূর থেকে আগত এসব অথিতি পাখিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও পাখি শিকারীদের নির্মমতা রোধে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার বিষয়েও আহবান জানান পাখি প্রেমিকরা।